ঢাকা ব্যুরো: বিএনপির প্রচার সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানিকে ৪ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। আজ বুধবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রশিদুল আলম রিমান্ড মঞ্জুর করেন। শুনানির সময় আদালতকে এ্যানি কাঁদতে কাঁদতে বলেন, ‘আমাকে থানায় নিয়ে মানসিক নির্যাতন করা হয়েছে।’
গত ২৩ মে রাজধানীর সিটি কলেজের সামনে পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় ধানমন্ডি থানায় মামলা হয়। পুলিশের দায়ের করা এই মামলায় শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানির নাম রয়েছে। এই মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ধানমন্ডি থানার এসআই শহীদী হাসান রিমান্ড আবেদনে বলেন, ‘গত ২৩ মে রাজধানীর সিটি কলেজের সামনে নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড করে বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা। সেদিন আসামিরা পুলিশের ওপর আক্রমণ করে, ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটায়। পরস্পর যোগসাজশে সরকার উৎখাত করাসহ জনসাধারণের জানমালের ক্ষতিসাধন করার জন্য আসামিরা এই কাজ করেছে। এ্যানিও এসব কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিলেন। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে এই ঘটনার সঙ্গে আরও যারা জড়িত ছিল তাদের শনাক্ত করা প্রয়োজন।’
রিমান্ড শুনানির সময় এ্যানিকে আদালতে হাজির করা হয়। তিনি আদালতে কথা বলেন। আদালতকে এ্যানি বলেন, গভীর রাতে পুলিশ তার বাসা ঘিরে ফেলে। তিনি পুলিশকে অপেক্ষা করতে বলেন। পুলিশকে এ্যানি বলেন, ‘ফজরের নামাজ পড়ে আমি বের হচ্ছি।’ কিন্তু পুলিশ অপেক্ষা না করেই বাসার দরজা ভেঙে তাকে টেনে হিঁচড়ে বের করে নিয়ে আসে। এ সময় পুলিশ মারমুখী ছিল।
এ্যানিকে গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে ধানমন্ডির বাসা থেকে আটক করে ধানমন্ডি থানা-পুলিশ। আজ বুধবার সকালে বিএনপির মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক জহির উদ্দিন স্বপন এ্যানিকে আটকের বিষয়টি জানান। জহির উদ্দিন স্বপন বলেন, ‘মধ্যরাতে পুলিশ এ্যানিকে দরজা ভেঙে তুলে নিয়ে গেছে।