শরিয়তপুর থেকে আকতার হোসেনের প্রতিবেধন:
শরীয়তপুর বাসীর দাবি একটাই
সেতুর আগে সড়ক চাই।
পদ্মা সেতু বাংলাদেশের পদ্মা নদীর উপর বহুমুখী সড়ক ও রেল সেতু। এর মাধ্যমে মুন্সীগঞ্জের লৌহজং এর সাথে শরীয়তপুর ও মাদারীপুর জেলা যুক্ত হবে। ফলে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সাথে উত্তর পূর্ব অংশের সংযোগ ঘটবে।
বাংলাদেশের মত উন্নয়নশীল দেশের জন্য পদ্মাসেতু হতে যাচ্ছে এর ইতিহাসের একটি সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জিং নির্মাণ প্রকল্প।
পদ্মা সেতুর সংযোগ এর মাধ্যমে দক্ষিণ অঞ্চলের মানুষের ভাগ্য বদলাবে মাদারীপুর,ফরিদপুর, খুলনা হবে আধুনিক শহর। দুর্ভাগা শরীয়তপুর বাসির কপালে কি জুটবে পদ্মা সেতুর সংযোগ সড়ক। এ প্রসঙ্গে শরীয়তপুরবাসী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে শরীয়তপুর বাসিন্দারা বলেন,,
জাগো শরীয়তপুর বাসিন্দারা জাগো!!!
পদ্মা সেতু চালু হবার আগে সড়ক চাই আন্দোলন করতে হবে, সংগ্রাম করতে হবে,এমন ভাবে আন্দোলন করতে হবে যেন প্রধানমন্ত্রীর কাছে গিয়ে পৌঁছায়। তারা আরো লেখেন শরীয়তপুর সড়ক দুর্ঘটনায় আর কোন তাজা প্রাণ হারাতে চাইনা, সব জেলায় কমবেশি উন্নয়ন হয় বা হচ্ছে কিন্তু আমাদের শরিয়তপুরে কোন উন্নয়ন নাই কেনো?
অন্য দিকে,পদ্মা সেতুর সুফল যাতে শরীয়তপুরবাসী পান সেজন্য পদ্মা সেতুর সঙ্গে বিদ্যমান সড়কের সংযোগ তৈরি এবং সড়কটি উন্নয়নে ১৬৮২ কোটি ৫৪ লাখ ৯৭২ হাজার একটি প্রকল্প নেওয়া হয়েছে।
শরীয়তপুরের প্রধান সড়ক যুক্ত করা হবে পদ্মা সেতুর সঙ্গে, পাশাপাশি প্রশস্ত করা হবে ওই সড়ক।
শরীয়তপুর – জাজিরা – নাওডোবা(পদ্মা ব্রিজ অ্যাপ্রচ)সড়ক উন্নয়ন। শীর্ষক এই প্রকল্প চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত একনেক সভায় তোলা হতে পারে বলে জানান পরিকল্পনা বিভাগের সচিব মোঃ নুরুল ইসলাম।
সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে নেওয়া এ প্রকল্প ২০২২ সালের জুনের মধ্যে বাস্তবায়ন করবে “সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর”।
এ প্রকল্পের পুরো অর্থের যোগান দেবে সরকার নিজস্ব তহবিল থেকে।
তবে এতে শরীয়তপুর বাসির প্রত্যাশা তাদের পিত্ত ভিটেমাটি ছেড়ে দিয়ে, পদ্মা সেতুর কাজে সর্বস্ব বলিদান করেও, শরীয়তপুরবাসী কোন উন্নয়নের ছোঁয়া পাই নি এখনও।