স্টাফ রিপোর্টারঃ লক্ষ্মীপুর ল্যান্ড সার্ভে ট্রাইব্যুনালে জাল-জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে টেম্পারিংকরা কাগজপত্র প্রদর্শনক্রমে মামলার রায় হাসিল করে বিপাকে পড়েছেন মামলার বাদী মোঃ হোসেন পাটোয়ারী। আদালতে টেম্পারিংকরা কাগজপত্র উপস্থাপন, জাল কাগজপত্রের স্বপক্ষে স্বাক্ষ্য প্রদান এবং নিজ হলফনামা জবানবন্দিতে দস্তখত দেয়ায় মামলার বাদী মোঃ হোসেন পাটোয়ারীর বিরুদ্ধে ২৩ আগস্ট (বুধবার) সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে দঃ বিঃ ৪৬৬ ও ৪৭১ ধারায় অভিযোগ দায়ের করেন লক্ষ্মীপুর ল্যান্ডসার্ভে ট্রাইব্যুনালের বিজ্ঞ বিচারক (যুগ্ম জেলা জজ) মুহাম্মদ মুনির হোসেন।
এর আগে গত ২০ আগস্ট (রবিবার) পৃথক আদেশে তঞ্চকতার আশ্রয় নিয়ে হাসিল করা এলএসটি মামলাটি ২০ হাজার টাকা খরচাসহ খারিজ এবং জাল কাগজপত্র জব্দ করা হয়। ক্ষতিপুরণমূলক খরচার টাকা আগামী ৬০ দিনের মধ্যে বিবাদীগণের বরাবরে পরিশোধ করে ট্রাইব্যুনালকে দরখাস্তের মাধ্যমে অবহিত করার জন্য বাদী মোঃ হোসেন পাটোয়ারীকে নির্দেশ দেয়া হয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, রামগঞ্জ উপজেলার ডুমুরিয়া গ্রামের গোলাম রহমানের পুত্র মোঃ হোসেন পাটোয়ারী ১নং বাদী হয়ে এবং মনোয়ারা গংকে বিবাদী করে লক্ষ্মীপুর ল্যান্ড সার্ভে ট্রাইব্যুনালে ১২০/২০১৪নং মামলা দায়ের করেন। বিগত ২৭ নভেম্বর ২০২২ইং তারিখে লক্ষ্মীপুর ল্যান্ড সার্ভে ট্রাইব্যুনালের বিজ্ঞ বিচারক (যুগ্ম জেলা জজ) মুহাম্মদ মুনির হোসাইন আদালতের বিচারকার্য পরিচালনার সময় বাদী মোঃ হোসেন পাটোয়ারী নিজ হলফনামা জবানবন্দিতে স্বাক্ষর প্রদান করেন এবং সাক্ষ্য প্রদান কালে লক্ষ্মীপুর ২য় মুনসেফী আদালতের খাজনার ১৪০২/২৮নং মোকদ্দমার সোলেনামার সহিমোহর নকল উপস্থাপন করেন।
এলএসটি ১২০/২০১৪নং মোকদ্দমা বিগত ২০/০৮/২০২৩ইং রায় প্রচারকালে গ্রহীত ও প্রদর্শীত সাক্ষ্য প্রমাণ দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, মামলার বাদী হোসেন পাটোয়ারী নালিশী ভূমি সংক্রান্তে লক্ষ্মীপুর ২য় মুনসেফী আদালতের খাজনার ১৪০২/২৮নং মোকদ্দমার সোলেনামার ২নং দফার ০৫নং লাইনে গোলাম রহমান শব্দের পর গং শব্দটি টেম্পারিংয়ের মাধ্যমে (ঘষা-মাজা করে) বিলুপ্ত করে আদালতের রেকর্ড জালিয়াতি করেন। যার প্রেক্ষিতে বিজ্ঞ বিচারক এলএসটি ১২০/২০১৪নং মামলার ১নং বাদী মোঃ হোসেন পাটোয়ারীকে জালিয়াতি মামলার ১নং আসামী করে তার বিরুদ্ধে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে দঃ বিঃ ৪৬৬ ও ৪৭১ ধারায় মামলা দায়েরের আবেদন করেন। পৃথক আদেশে এলএসটি মামলাটি ২০ হাজার টাকা খরচাসহ খারিজ করা হয়। ক্ষতিপুরণমূলক খরচার টাকা আগামী ৬০ দিনের মধ্যে বিবাদীগণের বরাবরে পরিশোধ করার জন্য মোঃ হোসেন পাটোয়ারীকে নির্দেশ দেয়া হয়। অন্যথায় ক্ষতিপূরণমূলক খরচের টাকা আদায়ের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে মর্মে আদেশে উল্লেখ করা হয়।