অনলাইন ডেস্কঃ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন উপলক্ষ্যে লক্ষ্মীপুরে বিচার বিভাগের উদ্যোগে আলোচনা সভা জেলা জজ আদালতের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়।
যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ মোঃ নুরুল আফসার এর সঞ্চালনায় এবং ল্যান্ড সার্ভে ট্রাইব্যুনালের বিজ্ঞ বিচারক যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ মো. মুনির হোসাইন এর কোরআন তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের অনুষ্ঠান শুরু করা হয়।
লক্ষ্মীপুর জেলা ও দায়রা জজ মো. রহিবুল ইসলাম এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিজ্ঞ বিচারক (জেলা জজ) মোহাম্মদ ছাদেকুর রহমান, চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট মোহাম্মদ মুমিনুল হাসান, সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট মোহাম্মদ আবু ইউসুফ, ভিক্টোরিয়া চাকমা, সহকারি জজ উম্মে বিবি, রবিউল হাসান সাকিল, ফাহমিদা সুলতানা, জেলা জজ আদালতের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোঃ মাঈন উদ্দিন, বেঞ্চ সহকারি মোঃ সেলিম উদ্দিন ও সেরেস্তাদার মোঃ মোশারফ হোসেন প্রমূখ।
আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন, লক্ষ্মীপুর জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি আহাম্মদ ফেরদাউস মানিক, জেলা জজ আদালতের পিপি এডভোকেট মোঃ জসিম উদ্দিন, জিপি শ্যামল কান্তি চক্রবর্তী,স্পেশাল পিপি এডভোকেট আবুল বাসার, আইনজীবী সমিতির সাধারন সম্পাদক হাসান আল মাহমুদ।
এ সময় সিনিয়র সহকারি জজ উজমা শুকরানা, সহকারি জজ ফখরুল আবেদীন এবং বিচার বিভাগের অন্যান্য কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন।
সভাপতির বক্তব্যে লক্ষ্মীপুর জেলা ও দায়রা জজ মো. রহিবুল ইসলাম বলেন, আজ ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে হাজার বছরের পরাধীনতার শৃঙ্খল ভেঙে বাঙালি নতুন একটি জাতিরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার যুদ্ধ করে। হানাদার পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে ৯ মাসের সশস্ত্র লড়াই শুরু করে এ দেশের মুক্তিকামী জনতা।
প্রায় দুই যুগ ধারাবাহিক সংগ্রামের মধ্য দিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালি জাতিকে স্বাধীনতার জন্য প্রস্তুত করেন। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালরাতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী এ দেশের মানুষের মুক্তির আকাঙ্ক্ষাকে শেষ করে দিতে বর্বর হত্যাকাণ্ডে মেতে ওঠে। ২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধুকে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী গ্রেপ্তার করে। এর আগেই তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। তাই ২৬ মার্চ বাঙ্গালী জাতির জন্য অনন্য একটি দিন।
স্বাধীনতা ঘোষণার পর বঙ্গবন্ধুকে গ্রেপ্তার করে তত্কালীন পশ্চিম পাকিস্তানের কারাগারে বন্দি করা হয়। দীর্ঘ ৯ মাস মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে বঙ্গবন্ধুকে কারাগারে বন্দি রাখা হয়। পাকিস্তানি পরাধীনতা থেকে মুক্তির লড়াইয়ে ৩০ লাখ মানুষ শহীদ হয়। ৯ মাসের যুদ্ধে এত বেশি মানুষ হত্যার ঘটনা পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল।