রাজশাহী প্রতিনিধি:
রাজশাহীর বিভিন্ন উপজেলায় এখন শোভা পাচ্ছে আগাম আমের মুকুল। সেই মুকুলের পরিমাণ কম হলেও এর সৌরভ ছড়িয়ে পড়ছে বাতাসে। যেসব গাছে মুকুল আসতে শুরু করেছে, তার মালিকরা পরিচর্যা শুরু করেছেন।
রাজশাহী মহানগরীর ১৭ নং ওয়ার্ড নওদাপাড়া খানকাহ শরিফ মোড় এলাকার বানরুই আবাসিক সড়কের পাশে, ফুলতলা মোড়, দুরুলের মোড় চকপাড়া এলাকার কামালের বাগান, উকিলের বাগান, বারো রাস্তার মোড় জলিলের বাগান।
অনুরূপভাবে উপজেলাগুলোর মধ্যে পুঠিয়া, দুর্গাপুর, গোদাগাড়ী, মোহনপুর,বাগমারা, বাঘা, চারঘাটের বিভিন্ন এলাকার গাছে গাছে শোভা পাচ্ছে আমের মুকুল।
এসময় আমের মুকুলের ঘ্রাণে মৌমাছিদের আনাগোনা। মুকুলের মিষ্টি ঘ্রাণ যেন জাদুকরের মতো কাছে টানছে তাদের। গাছের প্রতিটি শাখা-প্রশাখায় তাই চলছে ভ্রমরের সুর ব্যঞ্জনা। শীতে স্নিগ্ধতার মধ্যেই শোভা ছড়াচ্ছে আম গাছের স্বর্ণালী মুকুল।
গণকণ্ঠ প্রতিনিধিকে আম গাছের মালিকরা বলেন, গাছে আমের মুকুল দেখা মেলায় মনটা আনন্দে ভরে যাচ্ছে। তবে এ মুকুল টিকে থাকলে এবার বাম্পার ফলন পাওয়া যাবে বলে আশা করছি । তবে ঘন কুয়াশা দেখা দিলে আমের মুকুল পচে নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থেকে যায়।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোঃ শামছুল হক গনকন্ঠকে বলেন, নির্ধারিত সময়ের আগেই আবহাওয়াগত ও জাতের কারণেই মূলত আমের মুকুল আসতে শুরু করেছে। প্রতি বছরই কিছু আমগাছে আগাম মুকুল আসে। এবারও আসতে শুরু করেছে। ঘন কুয়াশার কবলে না পড়লে এসব গাছে আগাম ফলন পাওয়া যাবে। আর আবহাওয়া বৈরী হলে ফলন মেলে না। তবে নিয়ম মেনে শেষ মাঘে যেসব গাছে মুকুল আসবে সেসব গাছে মুকুল স্থায়ী হবে।
তিনি আরও বলেন, বেশ কিছু এলাকার গাছে গাছে ফুটছে ফুল, আগাম মুকুলে মুকুলে ছেয়ে গেছে পুরো আমের বাগান।
উউল্লেখ্য, আবহাওয়া পরিবর্তন অর্থাৎ যে আবহাওয়াটা মুকুল হওয়ার জন্য দরকার সেটা আগেই পেয়েছে সেজন্য আগাম মুকুল এসেছে। এছাড়া আগাম জাতের গাছে আগাম মুকুল আসে।