এস.এম অলিউল্লাহ
ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
ব্রাহ্মণবাড়িয়া নবীনগর উপজেলা বাহ্মণহাতা নারুই বার আউলিয়া ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসায় দৈনিক নয়াদিগন্ত পত্রিকার বিজ্ঞপ্তি মোতাবেক গত ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২০ইং তারিখে বিভিন্ন পদে (৫) পাঁচজন জনবল নিয়োগের লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
নিয়োগ পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণার আগেই একজন প্রার্থী নিজেকে প্রথম স্থান ঘোষণা করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শোকরিয়া আদায় করলে নিয়োগ পরীক্ষা নিয়ে জনমনে প্রশ্ন সৃষ্টি হয়। সরেজমিনে অনুসন্ধানে বেড়িয়ে আসে বার আওলিয়া ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল ও গভর্নিং বডির সভাপতির বিরুদ্ধে পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁস সহ অর্থ লেনদেনের অভিযোগ।
নিয়োগ পরীক্ষায় বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে প্রতিষ্ঠানের প্রিন্সিপাল মোঃ শাফীকুল ইসলাম ও গভর্নিং বডির সভাপতি কাইতলা উত্তর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আসলাম মৃধার বিরুদ্ধে ১ অক্টোবর নবীনগর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন নিয়োগ পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী জহিরুল ইসলাম নামের একজন প্রার্থী।
জহিরুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন আমাদের সাথে পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী মোঃ ইমন চৌধুরী পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণার আগেই নিজেকে প্রথম স্থান ঘোষণা করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শোকরিয়া আদায় করে পোস্ট দেওয়ার সাথে সাথে প্রশ্ন ফাঁস হয়েছে বলে এলাকা জুড়ে গুঞ্জন শুরু হয়। জহিরুল বলেন প্রতিষ্ঠানের প্রিন্সিপাল নিজে আমাকে চাকরি দিবে বলে আমার কাছ থেকে ১ লক্ষ টাকা ঘুষ নেই।
কাইতলা উত্তর ইউনিয়ন মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার নিয়ামত উল্লাহ অভিযোগ করে বলেন আমার মেয়েকে চাকরি দিবে বলে প্রিন্সিপাল ও গভর্নিং বডির সভাপতি আমার কাছে ৩ লক্ষ টাকা ঘুষ চাই। এছাড়াও নিয়োগ পরীক্ষায় অনিয়ম ও দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ করেন নিয়োগ পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী ইমরান ও বিজয়।
গভর্নিং বডির সভাপতি আসলাম মৃধা তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন আমরা স্বচ্ছতার মাধ্যমে সুন্দর ভাবে পরীক্ষা নিয়েছি। আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা।
প্রতিষ্ঠানের প্রিন্সিপাল শাফীকুল ইসলামের কাছে তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। আমরা নিরপেক্ষ ভাবে নিয়োগ পরীক্ষা সম্পূর্ণ করেছি। কেউ অতিরিক্ত বলে থাকলে সেটা তার ব্যাপার।
বার আউলিয়া ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসা নিয়োগ বানিজ্য ও প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে নবীনগর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ মোকাররম হোসেন বলেন আমি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। সত্যতা পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
উল্লেখ এখনো পর্যন্ত নিয়োগ পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণা করা হয়নি।