আতাউর শাহ্, নওগাঁ প্রতিনিধি
নওগাঁয় বেডো জেনারেল হাসপাতালে শাবনুর বানু (৩২) নামে এক প্রসুতিকে ভুল চিকিৎসার অভিযোগ সিভিল সার্জনসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ঘটনাটি তদন্ত করে দ্রুত আসামীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন। গত সোমবার বিকেলে অভিযোগটি দায়ের করেন প্রসূতি স্বামী মিজানুর রহমান।
ডেপুটি সিভিল সার্জন মঞ্জুর -এ মুর্শেদ জানান, বেডো জেনারেল হাসপাতালে ভুল চিকিৎসার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনাটি তদন্তে দ্রুত তদন্ত কমিটি গঠন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
অভিযোগকারি মিজানুর রহমান বগুড়া জেলার আদমদিঘী উপজেলার তারাপুর গ্রামের আছির উদ্দিনের ছেলে। অভিযুক্তরা হলেন, শহরের বাইপাস সড়কের বোয়ালিয়া এলাকায় অবস্থিত বেডো জেনারেল হাসপাতাল মাহফুজুর রহমান(৪৭) ও ডাক্তার এসএম বজলুর রহমান (৫০)।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ৩০ অক্টোবর বেডো জেনারেল হাসপাতালে গর্ভবর্তী শাবনুর বানুকে নিয়ে যান। এরপর চিকিৎসকের পরামর্শে পর দিন সকাল ৮ টায় সিজার করার কথা তারও ২৪ ঘন্টা পর ডাক্তার এসএম বজলুর রহমান পহেলা সেপ্টেম্বর পর সিজার করেন। মেয়ে সুস্থ থাকলেও ভুল চিকিৎসায় শাবনুরের অবস্থার অবনতি ঘটিলে উক্ত ক্লিনিকে বাকবিতন্ডার ঘটনা ঘটে। তারপর তাদের কোন কথা না শুনে অসৌজন্য ব্যবহার করেন। রোগির আরো শারীরিক অবস্থা অবনিত হলে ডাক্তার এসএম বজলুর রহমান ডাক্তার দায় এড়াইতে রেফার্ডের পরামর্শ দেন।
এমতাবস্তায় কয়েকজন ড্রেসিং শুরু করেন। তাকে সন্দেহ হলে তিনি নিজেকে ডাঃ মুক্তাদির পরিচয় দেন এবং বলেন তিনি ডাঃ দিলরাজ বানুর স্বামী। এক পর্যায় ইসলামী হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার জন্যে ৯ সেপ্টেম্বর রাতে ভর্তি করা হয়। ইলে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক রোগীর অবস্থা আশঙ্কাজনক দেখে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (রামেক) ভর্তি করে দনে। ওই রাতেই রামেকের কর্মরত চিকিৎসক রোগীর আশঙ্কাজনক অবস্থা দেখে আইসিইউ-তে ভর্তি করে নেন।
অভিযোগকারি মিজানুর রহমান আরো উল্লেখ করেন, বেডো জেনারেল হাসপাতালে ভুল চিকিৎসার জন্যে তার স্ত্রী মৃত্যুর মুখে চলে গিয়েছিল। এই অপচিকিৎসায় তার প্রায় ২ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। তিনি আরো বলেন, তার মতো কেউ এই ভোগান্তি শিকার না হওয়ার জন্যে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানান।
বেডো জেনারেল হাসপাতালের ম্যানেজার মুক্তাদির হোসেন সকল ভুল চিকিৎসার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ওই রোগির আগে থেকেই শারীরিক অবস্থা খারাপ ছিল। তাই দ্রুত উন্নত চিকিৎসার জন্যে অন্য হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে।
নওগাঁর সিভিল সার্জন ডা: এবিএম আবু হানিফ জানান, ওই হাসপাতালের কি কি অনুমতি আছে তা ক্ষতিয়ে দেখে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।#