অনলাইন ডেস্ক: ঘূর্ণিঝড় মিধিলির আঘাতে লক্ষ্মীপুর জেলার ৫টি উপজেলায় ব্যপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এর মধ্যে মেঘনা উপকূলীয় রামগতি ও কমলনগর উপজেলায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, জেলার চরাঞ্চলসহ বিভিন্ন উপজেলায় ক্ষেতে থাকা কাঁচাপাকা আমন ধানের ব্যপক ক্ষতি হয়েছে। সূত্রমতে প্রায় ৭০ হাজার হেক্টর ধান ক্ষতির কবলে পড়েছে।
এ ছাড়া জেলার বিভিন্ন স্থানে ৩ শতাধিক বসতঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর মধ্যে ১৬১টি ঘর আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত এবং অন্য ঘরগুলো পুরোপুরি বিধ্বস্ত হয়েছে। বিভিন্ন স্থানে গাছ উপড়ে পড়েছে। বিধ্বস্ত হয়েছে পল্লী বিদ্যুতের শতাধিক খুঁটি।
ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে শুক্রবার দুপুরের পর ভারি বৃষ্টিপাত শুরু হয়। সঙ্গে ঝোড়ো বাতাস ছিল। এতে বিভিন্ন স্থানে গাছাপালা ভেঙে পড়েছে। তলিয়ে গেছে নিম্নাঞ্চলসহ চলাচলের পথঘাট।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা ইউনুস মিয়া শনিবার বলেন, ঝড়ে ১৬১টি বসতঘর আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ১৪০টি কাঁচাঘর পুরোপুরি বিধ্বস্ত হয়েছে। বিভিন্ন স্থানে ফসলেরও ক্ষতি হয়েছে।
জেলা কৃষি সম্প্রাসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক ড. জাকির হোসেন বলেন, কয়েকটি স্থানে ক্ষেতে থাকা আমন ধানের গাছ ভেঙে পড়েছে। আমন ক্ষেত ও সবজি ক্ষেতে পানি জমে আছে। পানি দ্রুত নেমে গেলে ধানসহ ফসলের ক্ষতি কম হবে।
তিনি জানান, জেলাতে ৮৩ হাজার ৫০৯ হেক্টর জমিতে আমনের আবাদ হয়েছে। শীতের সবজির আবাদ হয়েছে তিন হাজার হেক্টর জমিতে। ক্ষেতের আমন ধান এখনো কাঁচা। এ পর্যন্ত ৬ শতাংশ জমির ধান কাটা হয়েছে।
লক্ষ্মীপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার প্রকৌশলী জাকির হোসেন বলেন, ঝড়ে জেলার বিভিন্নস্থানে আমাদের একশটির বেশি খুঁটি পড়ে গেছে। গাছপালা পড়ে তিনশর বেশি স্পটে তার ছিঁড়ে পড়েছে। বিভিন্ন স্থানে ট্রান্সফরমারে সমস্যা দেখা দিয়েছে। বিদ্যুৎ সরবরাহ সচল করতে আমাদের কর্মীরা বিরামহীন কাজ করে যাচ্ছে।