1. info@www.durjoynews24.com : দূর্জয় নিউজ ২৪ :
শুক্রবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৮:৫৯ অপরাহ্ন
শিরোনাম:
লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু লক্ষ্মীপুর ন্যাশনাল আইডিয়াল স্কুলে সবুজের স্বপ্ন মেলা লক্ষ্মীপুর পিডিবির নির্বাহী প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে ডিসির নিকট অভিযোগ লক্ষ্মীপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের সেই অধ্যক্ষ এখনও বহাল তবিয়তে! লক্ষ্মীপুর জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের অভিযানে লাইসেন্স‍বিহীন দুটি ডায়াগনস্টিক সেন্টার সিলগালা লক্ষ্মীপুরে তিন দিনব্যাপী স্থানীয় সরকার উন্নয়ন মেলার উদ্বোধন সমাজের বাস্তব চিত্র তুলে ধরলে মানুষ সাংবাদিকদের সম্মান করে: এমপি নয়ন রামগতিতে জোড়া খুন মামলার আসামী গ্রেফতার প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ লক্ষ্মীপুরে পিডিবি নির্বাহী প্রকৌশলীর দুর্নীতি নিয়ে জেলা আইন-শৃঙ্খলা মিটিংয়ে ক্ষোভ প্রকাশ

গোদাগাড়ীতে হাঁস চাষে ঝুঁকছেন যুবকরা, বিপুল কর্মসংস্থানের সম্ভাবনা

  • প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ২০ অক্টোবর, ২০২০
  • ৪০ বার পড়া হয়েছে

রাজশাহী প্রতিনিধি

রাজশাহী গোদাগাড়ী উপজেলায় এখন হাঁসপালনে ঝুঁকছেন বেকার যুবকরা। অল্প খরচে লাভ বেশি হওয়ায় হাঁসচাষে ঝুঁকে পড়ছেন অনেকেই।হাঁসপালন করেই ভাগ্য বদল হচ্ছে তাদের। হাঁসপালন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে প্রতিনিয়ত।

হাঁসপালনের এমন চিত্র দেখা যায়, বাসুদেবপুর, স্লুইচ গেট, কাপাশিয়াপাড়া, উনুপনগর, মাধবপুর, সুলতানগঞ্জ, জলাহার, সাহাব্দীপুরসহ গোদাগাড়ী উপজেলার বিভিন্নস্থানে। বসতবাড়ির আঙ্গিনা এবং পতিত জমিতে গড়ে উঠেছে অসংখ্য হাঁসের খামার। শ্রমিক মুজরি, বাসস্থান তৈরি ও খাদ্যের স্বল্পতা না থাকায় এসব এলাকায় দিন দিন হাঁস চাষ বৃদ্ধি পাচ্ছে।

হাঁস চাষ করে বেকারত্ব দূর করার পাশাপাশি আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন যুবকরা। আর তাই সহজ বিকল্প কর্মসংস্থান হিসেবে হাঁস চাষের ব্যাপক প্রসার লাভ করেছে এই অঞ্চলগুলোতে।

বাসুদেব পুর এলাকার খামারী রাকিবুল ইসলাম বলেন, দীর্ঘদিন কৃষিকাজ করেছি। কিন্তু সার-কীটনাশক, ক্ষেতমজুর ও উৎপাদন খরচ বেশি হওয়ায় তেমন লাভ হতো না। তাই কৃষিকাজ বাদ দিয়ে হাঁসপালন শুরু করেছি। ২৫০টি হাঁস দিয়ে খামার শুরু করে এখন আমার খামারে ৬৫০ হাঁস রয়েছে। এর মধ্যে গড়ে ৩২০-৩৬০ ডিম পাচ্ছি। ডিম বিক্রি করে লাভবান হচ্ছি।

হাঁস পালনকারী জসিম বলেন, তার খামারে ৬০০ হাঁসের মধ্যে প্রতিদিন দুই হাজার টাকার ডিম বিক্রি হয়। এতে সংসারে ভালো রোজগার হচ্ছে।

উন্মুক্তভাবে চাষ করা খামারী রকিবুল ইসলাম জানান, ছোট থেকেই পাতিহাঁস পালনের প্রতি একটা আগ্রহ থেকেই তিনি ১৯৯৮সালে ১০০ পাতিহাঁস নিয়ে পালন শুরু করলে পরিবার থেকে অনুৎসাহিত করায় তার আর সামনে এগিয়ে যাওয়া হয়নি। তিনি কর্মজীবনে কৃষি পেশায় নিয়োজিত ছিলেন।
কিন্তু তার আগ্রহ ও প্রবল ইচ্ছা শক্তিকে পরিবার দমিয়ে রাখতে পারেনি।বিশ বছর পর আবার ২৫০পাতিহাঁস নিয়ে (ডিম উৎপাদনের লক্ষ্য) বিলের ধারে উন্মুক্তভাবে হাঁস পালন শুরু করে তিনি সফলতা অর্জন করেন।
এখন তার খামারে ৬৫০টি পাতিহাঁস রয়েছে যা গড়ে ৩২০-৩৬০টি ডিম উৎপাদন হচ্ছে বলে জানান।তার এই সফলতা দেখে অনেক স্থানীয় বেকার যুবক হাঁস পালনে আগ্রহী হয়ে উঠছে।

প্রাণীসম্পদ অধিদপ্তর থেকে কোন পরামর্শ বা সহায়তা পাচ্ছেন কি না প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, ডাক্তার প্রেসক্রিপশন লিখে দিলে সবই বাইরে থেকে ঔষধ নেওয়া লাগে সরকারি কোন ঔষধ ঠিকমত পাওয়া যায় না। তবে কোম্পানি থেকে ডাক্তাররা খামারে গিয়ে সঠিক চিকিৎসা দিয়ে থাকেন বলে তিনি জানান।

প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা ডা. সুব্রত কুমার সরকার বলেন, সরকার থেকে যে সকল ওষুধ সরবরাহ করা হয়ে থাকে তা সঠিকভাবে খামারিদের মাঝে বিতরণ করা হয়ে থাকে। তিনি আরো বলেন, পাতিহাঁস পালনে এলাকার অনেক বেকার যুবকের কর্মস্থান তৈরি হচ্ছে। খামার তৈরির পূর্বে সঠিক পরামর্শ না নেওয়ার কারণে স্থানীয়ভাবে বাচ্চা সংগ্রহে অনেকেই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন বলে জানান তিনি। খামার তৈরিতে একজন উদ্যোক্তাকে সঠিক পরামর্শের পাশাপাশি নিয়মিত খামার পরিদর্শন করে হাঁসচাষ প্রসারে বিভিন্ন পরামর্শ দিচ্ছেন বলে জানান তিনি।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো খবর

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: : ইয়োলো হোস্ট