হুমায়ুন আহমেদ
ষ্টাফ রিপোটার, সান্তাহার বগুড়া।
শীত মৌসুমকে সামনে রেখে জমে উঠছে আদমদীঘি সান্তাহার হকার্স মার্কেটে শীতের পোষাক বেচাকেনার করুন অবস্থা। সব বয়সের মানুষের নানা ধরনের শীতবস্ত্র ক্রয় বিক্রয়। কড়া নাড়ছে শীত, সারা দিন রোদের রাজত্ব শেষে সন্ধ্যা নামতেই বদলে যাচ্ছে তাপমাত্রা। ভোরের দিকে চাদর বিছিয়ে দিচ্ছে কুয়াশা। তবে এখনো জেঁকে বসেনি শীত। ফুটপাত থেকে শুরু করে অভিযাত বস্ত্র বিপনী সকলেই ইতিমধ্যে শীতবস্ত্রের পশরা সাজিয়ে ফেলেছেন। দরিদ্র ক্রেতারা তাদের ফুটপাতস্থ হকার মার্কেট থেকে স্ব স্ব সাধ্য ও প্রয়োজন সারতে শুরু করেছেন ইতিমধ্যে। জয়ের দোকান এর মালিক আইউব আলী বলেন
এবার শীতে করোনা ভয় থাকায় ব্যবসা ভালো হবে না বলে আশা করছেন ব্যবসায়ীরা। কারণ বেশিরভাগ সময় সন্ধা হলেই ক্রেতার কোন ভিড় পড়ছে না গত বছরের মত । বেচা বিক্রি কম আবার বিভিন্ন নেতাকর্মীরা মন পেতে শীতবস্ত্র বিতরণ করতেন । তাই এবার গরম কাপড়ের কদর বেড়ে যাবে বলেই আশা করছে অনেকে। সব মিলিয়ে বিক্রিও ভালো হবে বলে আশা করছে বিক্রেতারা ও । জয়ের দোকান এর এক বিক্রেতা রনি বলেন আদমদীঘি উপজেলার সান্তাহারে অনেক প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তি শীতের শেষের দিকেই শীতবস্ত্র বিতরণ করতে দেখা যায়। অথচ শীতের শুরুতে কেউ এগিয়ে আসেন না। অথচ যারা দরিদ্র জনগোষ্ঠিকে শীতবস্ত্র দিয়ে মানবতার কল্যাণ করতে চান শীতের শুরুতেই দেয়া উচিত। লোক দেখানো নয় প্রকৃত মানব কল্যাণই সকলের লক্ষ্য হওয়া উচিত।
ফ্যাশন সচেতন তরুণ-তরুণীরা শীতকালে নিত্যনতুন ফ্যাশনের সাথে ভিন্ন মাত্রার ফ্যাশনের মিশেল ঘটানোর সুযোগ পায়। প্রতিনিয়তই তরুণ-তরুণীদের ফ্যাশন পরিবর্তন হচ্ছে; তাই তাদেরকে যদি নতুন কোন চেহারায়, নতুন কোন রূপে দেখা যায়, তাহলে এতে মোটেই অবাক হবার কিছু নেই। এবার ও শীতের পোশাকে এসেছে বেশ বৈচিত্র্য। পুরোনো ও নতুন ফ্যাশনের সংমিশ্রণে জমে উঠেছে পোশাকের বাজার। হয়তো অনেক আগেই দোকানিদের কাছে শীতের আগমনী বার্তা পৌঁছে গিয়েছিল, তাই দোকানে গরম পোশাকের যেন কমতি নেই। শীতকে কেন্দ্র করে নানা রঙ আর ঢঙ এর পোশাক আসে বাজারে।ফ্যাশন সচেতনদের এই শীত কিন্তু ভীষণ প্রিয়। কেননা শীত নিবারণের হাজারো পোশাকে বাজার সরগরম।