আমাদের ছোট ভাই (চাচাত ভাই), ইসলামী ব্যাংক লক্ষ্মীপুর শাখার প্রাক্তন অফিসার মরহুম হাফেজ মোঃ মোসলেহ উদ্দিন আমাদেরকে শোকের সাগরে ভাসিয়ে অল্প বয়সেই আল্লাহর মেহমান হয়েছেন।
শিশুকাল থেকেই অধম্য মেধাবী মোসলেহ উদ্দিন নোয়াখালী জিলা স্কুল থেকে ৫ম শ্রেণি পাস করার পর আমার চাচা মরহুম মাওলানা মো: জামাল উদ্দিন তাকে হাফেজি মাদ্রাসায় ভর্তি করেন। সে অল্প সময়ে কোরআন হেফজ করে মাদ্রাসায় ভর্তি হন এবং আলেম পাশ করেন।
পরবর্তীতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনার্স- মাস্টার্স সম্পন্ন করে ইসলামী ব্যাংকের অফিসার হিসাবে কর্মজীবন শুরু করেন।
মরহুম আবদুল হাকিম মুন্সির দৌহিত্র হাফেজ মোঃ মোসলেহ উদ্দিন আমাদের পরিবারের উজ্জ্বল নক্ষত্র হিসাবে সকলের নিকট সমাদৃত ছিল। তার মধুর কণ্ঠে ছহীহ কোরআন তেলাওয়াত যারা শুনেছেন তাঁরা হাফেজ মোসলেহ উদ্দিনকে আমৃত্যু ভুলবার নয়।
আমার দেখামতে হাফেজ মোসলেহ উদ্দিন আল্লাহর এক নিখুঁত সৃষ্টি ছিলেন। তার মধ্যে কখনো কোন খুঁত পরিলক্ষিত হতোনা। এজন্য লাখো মানুষ তার জীবনাচরণ নিয়ে মুগ্ধ থাকতেন। সদা সত্যবাদিতা, মিষ্টবাসী, বিশুদ্ধ জীবনযাপন, পরোপকারীতা এবং ধর্মে কর্মে অল্প বয়সেই হাফেজ মোসলেহ উদ্দিন লাখো মানুষের প্রিয়জন ছিলেন।
হাফেজ মোসলেহ উদ্দিন একজন প্রসিদ্ধ কোরআন হাফেজ, ইসলামিক চিন্তাবিদসহ বহুমূখী প্রতিভাসম্পন্ন উদার মনের বিনয়ী প্রকৃতির একজন ভালো মানুষ ছিলেন।
২০১১ সালের ২রা এপ্রিল মর্মান্তিক দূর্ঘটনার শিকার হয়ে তারই জেরে ২০১১ সালের ৩রা জুলাই স্ত্রী, এক কন্যা, পরিবার পরিজন, আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব, ভক্ত, অনুরাগীসহ লাখো মানুষকে শোকের সাগরে ভাসিয়ে আল্লাহর ডাকে সাড়া দিয়ে ইহকাল ত্যাগ করেন। (ইন্নালিল্লাহে ওয়াইন্না ইলাইহে রাজিউন)
তার মৃত্যুতে মরহুম আবদুল হাকিম মুন্সির অধিভুক্ত পরিবারসমূহের অপুরণীয় এবং অবর্ণনীয় ক্ষতির পাশাপাশি আমরা একটি নক্ষত্রকে হারিয়েছি। এই ক্ষতি যেমনি কখনো পুরণ হবার মত নয় আর এ শোক কখনো মুছে যাবার মত নয়। যা লিখে বোঝানোর মত অত সহজ কিছু নয়।
হে আরশের মহান অধিপতি, হে আকাশ এবং জমিনের সৃষ্টিকারী সর্বশক্তিমান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন, আপনি আমাদের ছোট ভাই হাফেজ মোঃ মোসলেহ উদ্দিনকে জান্নাতুল ফেরদাউস এর মেহমান হিসাবে কবুল করুন। তার উছিলায় মরহুম আবদুল হাকিম মুন্সির বংশধরদের নাজাতের ফয়সালা করুন- আমিন।
মো: কামাল উদ্দিন হাওলাদার
সাবেক সভাপতি
লক্ষ্মীপুর প্রেসক্লাব।