আবু ইউসুফ নিজস্ব নিউজ রুম।যা আমাদের দেশে অহরহ ভাবে চলতেছে।
এবং ধর্মিয় আইননুসারে বিবাহের আহব্বান জানাচ্ছি।
(১) বিয়ের গোসল দেয় ভাবিরা অথচ স্বামী মারা গেলে স্ত্রীকে গোসল দিতে দেয়া হয় না হলুদ দিয়ে ভাবির হাতের গোসলের নামে চলে হারাম কাজগুলো।
(২) বিয়ে করলেন আপনি আর বিয়ের অনুষ্ঠানে আপনার হাত ধোয়ায় দিবে আপনার শালী বউ কে কোলে করে ঘরে নিয়ে যাবে আপনার বোন জামাই ভাই চাচাতো ভাই বন্ধু ইত্যাদি হারাম কাজে বৈধতা অবাক নয় কি।
(৩) বিয়ের সম্পর্ক যৌবনের সাথে ক্যারিয়ার গড়ার জন্য পড়ে রয়েছে সারাজীবন
অথচ আমাদের দেশে বলা হয় আগে ক্যারিয়ার গড়ো তারপর বিয়ে করো পরিণতিতে পার্কে পার্কে অবাধ প্রেম লীলা ও ধর্ষণের সেঞ্চুরি আর ডাস্টবিনগুলোতে বেওয়ারিশ শিশু লাশের ছড়াছড়ি যা কুকুর কাক আর শকুন মিলে ভাগাভাগি করে খায়।
(৪) বিয়ে করে বউ কে খাওয়াবি কী
কথা বার্তা শুনে মনে হয় বউ পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ খাদক যার ক্ষুধা নিবারণ করা দুঃসাধ্য।
(৫) বিয়ে মানেই মেয়ের বাবার উপর খরচের পাহাড় চাপিয়ে দেয়া অথচ ইসলামে দাওয়াত খাওয়ানোর দায়িত্ব বর পক্ষের কন্যা পক্ষের নয়।
(৬) আমাদের দেশে বর পক্ষ যৌতুক নেয় মোহরানা না দিয়ে বাসর রাত্রে স্ত্রীর নিকট ক্ষমা চায় অথচ ইসলামি বিধান মতে স্ত্রী মোহরানার হক্বদার যৌতুক তো সম্পূর্ণ হারাম।
(৭) কতিপয় হুজুরের কথা বার্তা শুনে মনে হয় সেবা পাওয়ার হক্বদার শুধুই স্বামী অথচ রাসূল (সা.) বলেছেন তোমাদের মধ্যে সেই ব্যক্তিই আল্লাহর কাছে উত্তম যে তার স্ত্রীর নিকট (দ্বীনের )(ক্ষেত্রে) উত্তম।
(৮) বিয়ের অনুষ্ঠানে বরের হাতে স্বর্ণের আংটি না পরালে মান সম্মান থাকে না অথচ পুরুষদের জন্য স্বর্ণ ব্যবহার হারাম।
(৯) পুরুষদের কাপড় থাকবে টাখনুর উপরে আর মেয়েদের কাপড় থাকবে টাখনুর নিচে অথচ বাস্তবতা টা কি আছে বর্তমানে।
(১০) বিয়ের ব্যাপারে হাজারো বাধা বিপত্তি থাকলেও ব্যাভিচার একে বারেই সহজলভ্য।
(১১) রাসূলুল্লাহ (সা.) তাক্বওয়া ভিক্তিক (পাত্র )(পাত্রী )নির্বাচন করতে বলেছেন আর আমরা করছি চেহারা আর সম্পত্তি ভিত্তিক যার ফলে ঘটে নানান অসুবিধা আল্লাহ আমাদের সঠিক নিয়েম পালন করার তৌফিক দান করুন আমিন।
সূত্রঃ দৈনিক বাংলাদেশ ৭১ সংবাদ।