স্টাফ রিপোর্টার: বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি ইনায়েতুর রহিমসহ আরও তিনজন বিচারপতি শনিবার লক্ষ্মীপুর সফরে আসেন। বিচারপতি ইনায়েতুর রহিমের বাড়ি দিনাজপুর জেলায়। লক্ষ্মীপুরের পুুলিশ সুপার মোঃ মাহফুজ্জামান আশরাফ দিনাজপুর জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হিসাবে কর্মরত থাকাকালীন বিচারপতির সাথে কাটানো সময় নিয়ে স্মতিচারণ এবং লক্ষ্মীপুর জেলায় বিচারপতি ইনায়েতুর রহিমসহ তিনজন বিচারপতিকে নিয়ে লক্ষ্মীপুরের মেঘনা নদী ও মেঘনার চরে বেড়ানোসহ নানান রকম ভালো লাগার বিষয় নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন। যা দূর্জয় নিউজ এর পাঠকদের উদ্দেশ্যে নিম্নে হুবহু প্রকাশ করা হলো।
“আপিল বিভাগের বিচারপতি ইনায়েতুর রহিম”
দীর্ঘদিন পর আজ স্যারের সাথে দেখা হলো।
দিনাজপুর থাকাকালীন যতবার স্যার বাড়ি আসতেন ততবারই আমারই যাওয়া হতো স্যারকে রিসিভ করতে। রিসিভ করে অভিবাদন মঞ্চে গিয়ে উঠতাম সালামী দিতে। গার্ড অব অর্নার শেষে স্যার বাসার ভেতর নিয়ে যেতেন আর আমাদের সাথেই বসে গল্প করতেন, খোঁজ খবর নিতেন আইনশৃঙ্খলার বিভিন্ন দিক নিয়ে।
একজন বিচারপতির সামনে বসে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হিসেবে মন খুলে কথা বলা এ যেন অনেক বড় পাওয়া। অত্যান্ত আন্তরিকভাবে কথা বলতেন। আর সবচেয়ে ভালো লাগার বিষয় আমাদের বিদায় দেবার সময় স্যার গেট পর্যন্ত এগিয়ে আসতেন। যতবারই স্যারকে আর না আসার জন্য বলতাম, ততবারই উনি খুব স্নেহের সাথে এগিয়ে এসে বিদায় দিতেন।
একজন বড় মাপের, বড় মন মানসিকতার মানুষ তিনি। দারুণ শ্রদ্ধাবোধ জন্মে উনার ভালবাসা আর আন্তরিকতায়। গত দুই দিন আগ থেকে জানতে পারছিলাম ইনায়েতুর রহিম স্যার আসছেন। যখন পোগ্রাম পেলাম তখন অভিভূত হলাম স্যার আসছেন। বেশ একটু শিহরিত হলাম ভালো লাগার অনন্য অনুভূতির স্খলনে।
একজন ভালো লাগার মানুষ।
একজন সম্মান ও শ্রদ্ধার মানুষকে আবার কাছে পেলাম। সেদিন ছিলাম জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার। আজ জেলার এসপি হিসেবে স্যারকে রিসিভ করতে পেরে ধন্য হলাম।
জেলা পুলিশের স্পীডবোটে স্যারসহ আরো তিনজন বিচারপতি স্যারকে নিয়ে মজু চৌধুরীর ঘাট থেকে মেঘনা নদীর পাড়ে এক চরে এলাম। নদীর ওপারে ভোলা আর বরিশাল। বিশাল বিস্তর জুড়ে জলরাশি। নদীর পাড়ে দাঁড়িয়ে বাতাসের সমারোহে উত্তপ্ত রোদ যেন গায়ে না লাগার তপ্ত ছড়ায় না। অন্যরকম এক ভালো লাগায় ভালো লাগাভূত হলো সারাক্ষণ।
সকাল থেকে বিকেল অবধি সন্ধালগ্ন দারুণ একটি সময় অতিবাহিত হলো বিচারপতিদের সান্নিধ্যে। জ্ঞানী মানুষের সান্নিধ্যও এক জ্ঞান লাভ। সময় ও ¯্রােত এভাবেই বহিয়া যায় বেলা থেকে বেলায়। সূর্য আবারও উঠে, প্রতিদিন উঠে, হারায় না কভূ….
১১.০৩.২৩